Breaking News
Loading...

Header Ads Widget

 রংপুর প্রতিনিধি:  মনির শাহ্

ফুটফটে জীবন নষ্ট করায় মাওলানার বিরুদ্ধে  অভিযোগ 

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় একের পর এক বিয়ে করে কুমারী মেয়েদের জীবন নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক যুবককে বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  মো. ইসলাম উদ্দিন পিতা খড়িয়া মামুদ রাজারামপুর ধনতোলা, বদরগঞ্জ রংপুর। বিবাদী আজিজুল ইসলাম, পিতা আয়ুব আলী, সেক্রেটারি পাড়া গোপিনাথপুর বদরগঞ্জ, রংপুর। ২ নং বিবাদী জাহাঙ্গীর আলম,৩ নং অহিদুল হক দিনাজপুর, ৪ নং আয়ুব আলী মইজ পিতা মইজ উদ্দীন,৫ নং  জাকারিয়া প্রামানিক পিতা সলিমুদ্দিন, রংপরগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছি যে,বিবাদীরা প্রতারণাকারী ও অসৎ প্রকৃতির লোক। আমার মেয়ে শ্বান্তনা খাতুন ডিগ্রি পাশ।গত ১৮/৮/২২ তারিখে আমার বাড়িতে এসে ১ নং বিবাদীর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আমি ছেলের বাড়িঘর লেখাপড়া খোজ নেই। তখন ২ নং বিবাদী প্রকাশ করে ছেলে মাওলানা এবং সে একজন ডিএসবির লোক। ছেলে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ২ ও ৩ নং দ্রুত মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমি সরল মমে বিশ্বাস করি কারণ ছেলে একজন মাওলানা।কাজেই আলোচনা চূড়ান্ত হলে ২ ও ৩ নং বিবাদী ১ নং বিবাদীকে মোবাইলে ডাক দেয় সঙ্গে আরো ৫/৭ জন লোক আসে। আমার মেয়েকে বিবাদীর পছন্দ হলে তার বিয়ে করতে রাজি হয়। সে অনুপাতে ২,৩ও ৪ নং বিবাদী উপঢৌকন হিসেবে আমার নিকট ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। সে অনুপাতে স্হানীয় রেজিস্ট্রার দিয়ে দিয়ে অনুমান ৫.৩০ ঘটিকায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করাই। আমার মেয়ের বিবাহের দেনমোহর ধার্য হয় ১ লক্ষ ৫১ হাজার ১ শত ১ টাকা। নগদ অলংকার বাবদ ১২০০ টাকা প্রদান করে। পরে ওই তারিখে আমার মেয়েকে১ নং বিবাদী  নিয়ে যায়।আমার মেয়ে ৪ দিন থাকার পর লোক পাঠালে আমার বাড়িতে চলে আসে এবং জানায় ইতিপূর্বে তার ৩ টি বিয়ে হয়েছিল এবং সে দৈহিকভাবে অসুস্থ। এ সময় ২ও ৩ নং বিবাদীকে বিষয়টি অবগত করলে তার ছেলের শারীরিক দূর্বলতা স্বীকার করে না। যেহেতু ১ নং বিবাদী শারীরিকভাবে দুর্বল তাই আমার মেয়ে সংসার করবে না জানিয়ে দিলে আমি আমি বিবাদীকে শারীরিক চিকিৎসা করার পরামর্শ দেই। বিবাদী আমার কথা কর্ণপাত না করিলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে ২৮/৮/২২ তারিখে বদরগঞ্জ জিতেনদত্ত মঞ্চের পার্শে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এর শোরুমে বৈঠক বসে । তাতে ১ নং বিবাদীর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও এমপির পিএস উপস্থিত থাকে। সালিশ প্রধানগণ ১ নং বিবাদীর প্রতিনিধি ইউপি সদস্য এবং ১০ নং মধুপুর ইউপি সদস্যকে দ্বায়িত্ব দিলে ১ নং বিবাদীসহ অন্যরা ইউপি সদস্যাকে ধরা না দিলে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। বিষয়টি একাধিকবার সালিশ হওয়ার কথা থাকলেও পাশ কাটিয়ে চলে যায়। আমার কুমারী মেয়ের ফুটফুটে উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্ট করেছে। উক্ত বিষয়ে সাক্ষী  জুয়েল রানা পিতা আবদুল বারী প্রামাণিক রাজারামপুর, আজাহারুল ইসলাম, পিতা কছিমুদ্দিনন, আবুল কাশেম পিতা সোলায়মান মিয়া, রুবেল পিতা মৃত আব্দুল গফুর সকলের থানা বদরগঞ্জ রংপুরগণকে বললে তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়।  

এ বিষয়ে এএসআই খাদেমুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি  তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

0 Comments